রাজধানীর কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। এসময় বিএনপির ককটেল বিস্ফোরণের জবাবে জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানেগ্যাস ছুড়ে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বেলা সোয়া একটার দিকে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়াও সেখানে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিবি) ভবনে রাখা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলে কাকরাইল মসজিদের সামনে চারটি গাড়ি করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের আসতে দেখা যায়।
এদিকে এর আগেও বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি বাস ও আটটি পিকআপ ভাঙচুর করেছেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে একটি বাস ও ৮টি পিকআপে করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাকরাইলে নেমে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় বিএনপির সমাবেশ থেকে একজন আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয় শুরু হয়।
বেলা পৌনে একটার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের এলাকায় আরেক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি কয়েকটি ব্যানার নিয়ে রিকশা করে যাচ্ছিলেন।
এরপরই পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তবে এ সংঘর্ষ কীভাবে শুরু হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। কাকরাইলে পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও সমাবেশ চলছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
